এনজিও পালস বাংলাদেশ’র জালিয়াতি তদন্তে প্রশাসন

বিশেষ প্রতিবেদক •

নিবন্ধনবিহীন এনজিও পালস বাংলাদেশের সনদ জালিয়াতি তদন্তে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তদন্তে জাল সনদে প্রতারণার প্রমাণ পেলে ফৌজধারী আইনে ব্যবস্থার নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সূত্রমতে, এনজিও ব্যুরো থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বোকা বানিয়ে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা বিদেশি ফান্ড এনে লোপাট করেছে এনজিও পালস বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা সংকটের ডোনেশনের টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পালস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (প্রোগ্রাম) আতিক উদ্দিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা। মাত্র দুই বছরে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক তারা। অথচ এই এনজিও’র ব্যবহৃত সকল সনদ-ই জাল। সরকারের কোন দপ্তরে পালস বাংলাদেশ নামে কোন এনজিও’র নিবন্ধন নেই। জালিয়াতির মাধ্যমে এতদিন প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে এসেছে তারা।

পালস বাংলাদেশ এনজিও’র জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অথচ এতদিন জাল সনদগুলো খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন বোধ করেনি। প্রশাসনের উদাসিনতা নিয়ে সমালোচনা করছেন সচেতন মহল। তদন্তে কোন ধরণের নয়ছয় না করার দাবী সচেতন মহলের।  

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি এতদিন নজরে ছিল না। এবিষয়ে তথ্য-উপাত্ত হাতে এসেছে। বিষয়টি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজধারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’